এক আশ্চর্য
ভুমিকম্পে
কেঁপে উঠেছিল শহর
ও জীবন
অগণিত বিস্মিত
চোখের সামনে
চুরচুর ভেঙে
পড়েছিল
সকল দেবালয় ও
দেবস্থান
লোলচর্ম
অশীতিপর ধর্মযাজক
ও
পণ্ডিতম্মন্যদের মৃতশবের গন্ধ
মেখে নিয়ে
বিদ্রূপের হাসি হেসেছিল
আকাশ ও বাতাস
সবাই খুঁজেছিল
ঈশ্বরকে
অলৌকিক
ইন্দ্রজালে নিশ্চয়
সচল হবে
নিষ্প্রাণ দেহ সব
যারা ছিলেন স্বঘোষিত সেবাদাস ঈশ্বরের ,
মানুষের নয়-
ধর্মের যাবতীয়
কবচ ও কুণ্ডল
যারা ব্যবহার
করেছিলেন স্বার্থরক্ষায়
তাঁরা নিশ্চিত
হবেন অজর অমর অক্ষয়।
ঈশ্বর এলেন না
তিনি তখন ত্বরিত
ব্যস্ততায়
সেবারত ছিলেন
শহরের উপকণ্ঠে
নির্বাসিত মুমূর্ষু কবির শয্যাপাশে
অসীম মমতায় তাঁর বিবর্ণ ঝোলায়
ভরে দিচ্ছিলেন আলোরং শব্দ কুহক
অপার সৃষ্টি রহস্যের বীজমন্ত্র
যা দিয়ে কবি লিখবেন
অকুণ্ঠিত প্রেমগান
আলোকসামান্য সুরে
ঈশ্বর পুনর্জীবন দিলেন কবিকে।
ঈশ্বরের মুখ ফেরানো থাকে
মানুষেরই মুখের দিকে।
No comments:
Post a Comment