Thursday, November 26, 2015

সঞ্জীবন

এবং তারপর-
দিগন্তবিস্তারী প্রান্তরময়
যখন ইতঃস্তত ছড়িয়েছিল
অনাকাঙ্ক্ষিত শবেরা
যাদের মৃত্যুর কোন
পূর্বাভাস ছিল না,
ছিল না কোন অভিপ্রায় ,
অনভিপ্রেত অন্তিম প্রেতগানে
যখন সূর্যও দ্বিধান্বিত ছিল আত্মপ্রকাশে
তীব্র কটু গন্ধ বাতাস
শ্বাস রোধী বিষে
অনিশ্চিত করতে চেয়েছিল সকল সঙ্কল্প
তখন কবি এসে দাঁড়ালেন ধীরপায়ে
সে বধ্যভূমির দ্বারে
তার গুলিবিদ্ধ হৃৎপিণ্ড থেকে
অঝোরে ঝরে পড়লো রৌদ্র রঙ আশ্চর্য আলো
প্লাবিত করলো চরাচর
বাঁশিতে বেজে উঠলো সঞ্জীবনী সুর
সমস্ত মৃত মানবচিহ্ন
জারিত হল পুনর্জীবনের মন্ত্রে
নিথর শবদেহরা উঠে দাঁড়ালো
একে অন্যের হাত ধরে
বৃন্দগানে শোনা গেল অমোঘ উচ্চারণ
কোন যোদ্ধা বা যুদ্ধাস্ত্র নয়
শেষ কথা বলে যাবে
কলম, বাঁশি আর নূপুরনিক্বণ