Thursday, October 27, 2016

দেবদারু




               
স্বর্গের সিঁড়ি বড় পিছল,
আমি বরং দেবদারু হব
সহজ বিভঙ্গে
তীব্র আসঙ্গময় পত্রসাজের 
সরল আয়োজনে
সূচিত হবে  উৎসবের রাত
উল্লসিত দিন, সবুজ আনন্দের
গহন বিস্তারে ছায়া-কারুকাজ
ছড়াবে মায়াবী আলো
অরণ্যের গভীর আঁধারে।
উচ্চশাখা , আকাশে ছোঁয়াবে মাথা
সেরে নেবে আন্তরিক কথোপকথন
নিজস্ব ঈশ্বরের সাথে
মৃদুস্বরে , সুবাসিত আলাপনে।
একদিন পারিজাত বনে
কস্তুরি গন্ধে যখন তুমুল প্রলয়
সুমসৃন দেহকান্ড বেয়ে
বহে যাবে স্নেহরস, অপার  প্রণয়  
আশ্রিত তৃণপাত্রে ভরে দেবে
অনিঃশেষ  প্রেম, আশ্লেষে আবেগে
 শেষ বজ্রপাতের আকাঙ্ক্ষিত রাতে।   

Tuesday, October 25, 2016

মাতৃরূপেণ




"রূপংদেহি, জয়ং দেহি, যশোদেহি----"

চন্দ্রাতপের নিচে
বিছিয়ে রাখি আতপ্ত শরীর
বীজনে মধুক্ষরা শান্তির ছল
কাঙ্খিত স্তবে আকাঙ্খিত নির্মাণ শবপ্রতিমার৷
আমি প্রান্তরে হেঁটে যাওয়া কৃষকরমণী
সাধারণী
মনোযোগী শস্যনির্মাণে
ক্ষুধার্ত সন্তানের৷
অস্বীকার করেছি প্রতিদিনের সহমরণ
অবহেলায়
রূপ জয় যশ লোভী পৃথিবীর বিপরীতে
ভেসে যাই জল- মাটি ভেঙে
একাকী অসীমে
আঁচলের ছিদ্রপথে
খেলা করে সূর্য ও চাঁদ
ভুলে যাইবিষাদ, জন্মান্তরের৷

দর্পণে দেখেছি মুখ
চাকচিক্যহীন
বিষ্ণুচক্র থেমে গেছে দূরে
স্পর্ধিত দৃষ্টির আগে,
ঈপ্সিত নয় সতীমাহাত্ম্য
খন্ডিত দেহভাগের৷

আমার পূর্ণ পৃথিবী
প্রতি সন্ধ্যাকালে
জড়ো হয় সহজ দাওয়ায়
স্বেদসিক্ত ভালে
জেগে ওঠে ত্রিনয়ন গভীর মায়ায়

আমি নারী, সাধারণী
সন্তান পরশে শুধু দিব্যজননী৷