Sunday, June 21, 2015

পিতৃদিবস

বাবা,
তোমার ছিঁচকাঁদুনে মেয়েটা,
তোমাকে দেখলেই
তোমার ছোঁয়া পেলেই
তোমার আদরের ডাক শুনলেই
যার অভিমানী মন
দুচোখ বেয়ে মুক্তো হয়ে
গলে গলে পড়ত ,
সে তেমনই আছে,
তেমনই আছে
তার সব ব্যথা আর অভিমান৷
গোত্রান্তরের রাতে,
তুমিই তো একফাঁকে বলেছিলে----
যা কিছু বদল ঘটুক
যা কিছু নতুন আসুক
অভিপ্রেত অনভিপ্রেত জীবনজুড়ে
সবটুকু হাসি দিয়ে ভরে দিতে
আলো দিয়ে মালা গেঁথে
গান দিয়ে সুরে সুরে
লক্ষী মেয়ের মত
সব কথা শুনেছি তোমার, মেনেছিও----
তবু মাঝে মাঝে
বড় সাধ হয়
সেই কচি বালিকার মত
বৃষ্টি আসুক দুচোখ ঝেঁপে
মনের আকাশ জুড়ে
তোমার মায়া পরশ পেয়ে
রামধনু রং আলো ছড়াক
নতুন করে-----

Tuesday, June 16, 2015

রংমাতাল

ই বউ রং দিবি না?
রং দিয়ে মন ছুঁবি না?
রাখালিয়া বাঁশির সুরে
ফাগ রং ধূলো ওড়ে
মাঠপথে আবির গুঁড়ো
সিঁথি যেমন লাল সিঁদুরে

এই বউ রং দিয়ে যা
রং দিয়ে মন ছুঁয়ে যা
যত রং তোর বসনে
তত রং মন গহনে
একবার ডুব দিয়ে যা
মরমিয়া রং মেখে যা

  এই বউ রং দিবি না?
বেলা  যায় রং দিবি না?
হাটশেষে পথের বাঁকে
বিকিকিনি খেলার ফাঁকে
চাঁদমুখ রঙিন মায়ায়
ফাগুনের উদাস হাওয়ায়
যে আগুন ছড়িয়ে দিল
পিদিমের শান্ত শিখায়
সে আভায় রক্তপলাশ
ফোটে সই তোর কপালে

সই তোর দেহ দেউলে
আজ মোর আবিরখেলা
রংহীন জীবনপালায়
শুরু হোক রঙের মেলা

ও বউ রং দিয়ে যা
ও সখি রং দিয়ে যা
বেলা যায় রং দিয়ে যা
রং দিয়ে মন নিয়ে যা

Thursday, June 11, 2015

রমণীয়



কত দুঃখ জমা হলে
এক নদী হয়?
নারীকে শুধাও!
কত ব্যথার পলিস্তরে
উর্বর হয় উপত্যকা
অফুরান ফসলের তরে?
নারীকে শুধাও
পর্বতের উৎসগুহায়
কত আঁধার পেরোতে হয়
আলো গান শোনার আগে
কত নুড়ি আঘাত হানে
কত প্রস্তর বাধা অবলীলায়
পেরিয়ে যেতে হয় অববাহিকায়
জল হয়ে জাগার আগে!
নারীকে শুধাও
বনস্পতি বীজে
লেখা থাকে যে তরঙ্গ ব্যথা
তার থেকে ফুটে ওঠে
ফুল-ফল কথা
কত অনুরাগে...নারীকে শুধাও,
নারীই জানে।